শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আসলামের রিমান্ড শুনানি ১৫ জুন

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ২০ দিনের রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী ও খোরশেদ আলম নতুন এই দিন ধার্য করেন। এর আগে মতিঝিল ও লালবাগ থানা পুলিশ আসলাম চৌধুরীকে ১০ দিন করে মোট ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, আসামি আসলাম চৌধুরী ৫ থেকে ৯ মার্চ বাংলাদেশের সরকারকে উত্খাতের ষড়যন্ত্রের কাজে ভারতে যান। ভারতে থাকার সময় বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কবহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আসামি বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে উত্খাতের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করেন। এই নীল নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই সরকারকে অবৈধভাবে উত্খাতের জন্য সন্ত্রাস, নাশকতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি, যা দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি এবং এর জন্য সহযোগিতা চান। আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত হয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ নিয়ে তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনে বিশ্বাসী হয়ে ভবিষ্যৎ সুবিধা লাভের আশায় নাশকতামূলক অপরাধ, রাষ্ট্র, সরকার, সার্বভৌমত্ব ধ্বংস এবং সরকার উত্খাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছিল, সম্প্রতি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেন আসলাম চৌধুরী। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের সরকার উত্খাত করাই ছিল এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর একত্রে ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এ ছাড়া একটি রেস্তোরাঁয় এক টেবিলে এই দুজনের বসে কথা বলার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। ছবিগুলোর উৎস মেন্দি এন সাফাদির ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতা ‘মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস’।

পরে সরকারি দলের নেতারা অভিযোগ করেন, আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক এজেন্টের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। গণমাধ্যমে এসব বৈঠকের ছবি ও খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা এটাকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।

সর্বশেষ খবর