রাজধানীর উত্তরায় ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের লিফট ছিঁড়ে আগুনের ঘটনায় মাহমুদুল হাসান (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদুল হাসানের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। এদিকে আগুনের ঘটনায় মার্কেট কমিটির হিসাব রক্ষক ওলিয়ার রহমান পলাশ বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আলাউদ্দিন টাওয়ারে ছিঁড়ে পড়া লিফটির তার গত বছরও রোজার সময় ছিঁড়েছিল। কী কারণে লিফটের তার ছিঁড়েছিল এবং সেই ঘটনায় মার্কেট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তা এখনো অজানা। মার্কেটের কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, তখন লিফটের তার ছেঁড়ার বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিলে হয়তো দ্বিতীয়বার এ দুর্ঘটনা ঘটত না। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন— মাদারীপুরের খোয়াজ মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন রফিক (৩৫), পাবনা আমিনপুরের খোরশেদ কাজীর ছেলে কাজী মিজানুর রহমান (৫৩), মুন্সীগঞ্জের বিল মোহাম্মদের মেয়ে লতা আক্তার (৩০), ফরিদপুর নগরকান্দার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম রানা (৩২) ও শেরপুর শ্রীবর্দীর আনিছুর রহমানের স্ত্রী সালমা আক্তার (৪০)। তবে আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। তারা ঢামেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।