রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে মিলন হোসাইন নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত শনিবার তাকে গ্রেফতারের পর গতকাল আদালতের মাধ্যমে পুলিশ মিলনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। গ্রেফতারকৃত মিলন আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী নিহত পাঁচ জঙ্গির একজন শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মিলন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বেতকিবাড়ি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি সর্বশেষ আশুলিয়া থানা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ডিইপিজেড) পাশে পবনারটেক এলাকায় পিয়ার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করছিলেন। এর আগে তিনি পাশের এলাকা ভাদাইলে মাদারি মাদবর মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষক ছিলেন। শনিবার রাতে ভাদাইল এলাকা থেকে মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে পিয়ার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ও মিলনের স্ত্রী দাবি করেন, গত বুধবার পিয়ার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, মাদারি মাদবর বিদ্যালয়ে ইলিয়াস আলী ও নূর মোহাম্মদ নামের আরও দুই শিক্ষক ছিলেন। তাদের দুজনের সঙ্গে মিলন ও শফিকুলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নূর মোহাম্মদকে আটক করে। আর ইলিয়াস চাকরি ছেড়ে গাঢাকা দেন।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক শহীদুল ইসলাম মোল্লা জানিয়েছেন, আশুলিয়ায় অবস্থানকালে শফিকুল ইসলাম মাদারি মাদবর মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষক নূর মোহাম্মদের মাধ্যমে জঙ্গি তত্পরতায় জড়িয়ে পড়েন। তারসঙ্গে ওই বিদ্যালয়েরই শিক্ষক মিলন হোসাইন, ইলিয়াস আলী ও নূর মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এদের মধ্যে শফিকুল জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত হয়েছেন। মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নূর মোহাম্মদকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। আর ইলিয়াস পলাতক রয়েছেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির জানিয়েছেন, মিলন হোসাইনের বিরুদ্ধে জঙ্গি তত্পরতায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জঙ্গি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা থাকার কথা স্বীকার করেছেন।