বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১০ চিকিৎসককে চাকরি নিয়ে আপিলের অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়া আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে চিকিৎসকদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এসব চিকিৎসকের করা আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার পর পুনর্বিবেচনার ওই আবেদন করা হয়। আপিলের আবেদন মঞ্জুরের পাশাপাশি দুই পক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতে চিকিৎসকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে ২৯ আগস্ট ১১০ চিকিৎসকের মধ্যে যোগ্যদের কীভাবে চাকরিতে রাখা যায়, তা জানাতে নির্দেশ দেয় আদালত। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলে স্বাচিপের তৎকালীন মহাসচিব ইকবাল আর্সলান হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ সংশোধন সাপেক্ষে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। এরপর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ১৯৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে সিন্ডিকেটে ১৭৪ জনকে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়। ২০১০ সালে রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। পরে এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে ১৭০ জন চিকিৎসক চেম্বার আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন জানান। চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে লিভ টু আপিল করতে বলে। ২০১১ সালে লিভ টু আপিল করেন চিকিৎসকরা। সেই আপিল চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি খারিজ হয়। সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে ১১০ চিকিৎসক রিভিউ আবেদন করেন। আদালত তাদের নিয়মিত আপিলের অনুমতি দেয়।