যাত্রাবাড়ীর হোটেল মেহরানে আদম ব্যবসায়ী আবু বকর মিয়াকে তার দুই সহযোগী হত্যা করে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল আবু বকরের স্ত্রী ছাবিকুন্নাহার বাদী হয়ে ওই দুজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামি হলেন মো. কবির ও আবুল মেহের। এরপরই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আবু বকরের লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে নিয়ে যান স্বজনরা। বুধবার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আবাসিক হোটেল মেহরান থেকে আবু বকর মিয়ার লাশ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। জানা গেছে, আবু বকর জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাবিকুন্নাহার জানান, ছয় মাস ধরে আবু বকর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যাননি। তাদের কোনো খরচও বহন করতেন না। যে কারণে অনেকটা অনটনের মধ্যে দুই সন্তান নিয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন। লাশ ঢাকা থেকে গ্রামে নিয়ে দাফনের সামর্থ্যও ছিল না তাদের। এ পরিস্থিতিতে এসআই নাসিরের আর্থিক সহায়তায় তারা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে দুজন তাকে হত্যা করে পালিয়েছেন তাদের সঙ্গে আবু বকরের আর্থিক ঝামেলা থাকতে পারে। পলাতক আসামিসহ আবু বকর একসঙ্গে ওই হোটেলে রুম ভাড়া করেন। তিনজন একসঙ্গে হোটেলের ক্যামেরায় ছবিও তুলেছেন। কিন্তু আসামিরা হোটেল রেজিস্টারে তাদের মিথ্যা ঠিকানা দিয়েছেন। হোটেলে ওঠার পর রুমের ভিতর আবু বকরকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই রুমের ভিতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি পুলিশকে জানান হোটেল কর্মচারীরা। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করা যায়নি।