কুয়েতে নেপালি নারীকে ধর্ষণের দায়ে মোহাম্মদ শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক এবং বিভিন্ন অপরাধে আরও ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর করেছে দেশটি। গতকাল স্থানীয় সময় ভোরে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালের ২৮ নভেম্বর অপহরণের পর ধর্ষণ ও অত্যাচারের দায়ে বাংলাদেশি যুবক শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৩ সালে তার ফাঁসির আদেশ দেয় কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালত। শাহ আলমের বাড়ি ঢাকার কদমতলী থানার ফরিদাবাদে। এদিকে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান জানান, দুই বছর নেপাল ও বাংলাদেশ দূতাবাস অনেক চেষ্টা করেও অভিযোগকারীকে খোঁজে বের করতে পারেনি। ওই নেপালির মালিক ছিলেন একজন ইরানি। তিনিও কুয়েত ত্যাগ করে চলে গেছেন। কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খানের মতে, অভিযোগকারীকে পেলে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে হয়তো শাহ আলমকে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেত। এ জন্য নেপাল দূতাবাস ও বাংলাদেশ দূতাবাস যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শাহ আলমের সঙ্গে শেষ দেখা করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।