বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু বাহিনী প্রধান নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গতকাল জলদস্যু বাহিনী প্রধান শামসু শেখ ওরফে কোপা শামসু নিহত হয়েছেন। এদিকে গতকাল ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল-আমিন নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, পুলিশ তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

বাগেরহাট : সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে জলদস্যু শামসু বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে বাহিনীপ্রধান শামসু শেখ ওরফে কোপা শামসু (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় র‌্যাব তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ধারালো অস্ত্র ও ৩৬টি গুলি উদ্ধার করে। গতকাল দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-৬-এর অপারেশন কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, মৃগমারী খাল এলাকায় বনদস্যু শামসু বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের অপহরণ বা ডাকাতির উদ্দেশে অপেক্ষা করছে— সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল সেখানে যায়। দুপুর ১২টার দিকে জলদস্যুরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে। এ সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হটলে সেখানে র‌্যাব তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ শামসু শেখ ওরফে কোপা শামসুকে আটক করে। মংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল-আমিন (৩২) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি পুলিশ তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।

আর পুলিশ বলেছে, মাদক ব্যবসায়ী দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আল-আমিন পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মায়মলহাটির মৃত জিলু মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুর রহমান জানান, সোমবার রাত ২টায় পৌর শহরের মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবারসংলগ্ন খোলা জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। টহল দল সেখানে পাঠানো হয়। সেখানে মাদক ব্যবসায়ী দুই পক্ষের গুলিবিনিময় হয়। এতে একজন আহত হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্ত্রী তানজিনা বেগম জানান, ‘সোমবার বিকাল তিনটার দিকে তার স্বামী আল-আমিনকে আশরাফ নামে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদা পোশাকে দুজন সোর্স নিয়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান। তারা আল-আমিনকে মারধর করেন। এরপর সদর থানায় গেলে পুলিশ আল-আমিনকে ধরেনি বলে জানায়। গতকাল সকালে খবর পাই আল-আমিনের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতের মামা ইবরাহিম মিয়া বলেন, পুলিশের একটি দল মাছ ব্যবসায়ী আল-আমিনকে ওয়ারেন্ট আছে বলে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় আল-আমিন পালিয়ে যাওয়ার জন্য নদীতে ঝাঁপ দেন। দুজন পুলিশও পানিতে নেমে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেন। সকালে হাসপাতাল থেকে খবর আসে রাত ৩টার দিকে পুলিশ আল-আমিনের লাশ হাসপাতালে রেখে গেছে। তার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ এবং বাম পায়ের রগ কাটা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আল-আমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর