শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
ব্যবসায়ী নূরুল হত্যা মামলা ডিবিতে

শাহাবুদ্দীন নাগরী-সুমির দুই দফার রিমান্ড শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই দফায় ৯ দিন রিমান্ডে ছিলেন নূরানী আক্তার সুমি ও তার বন্ধু সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন নাগরী। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তারা নিজেদের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করলেও হত্যা সম্পর্কে তথ্য গোপন এবং অসলগ্ন কথা বলেছেন। ফলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপি) নির্দেশে গতকাল সন্ধ্যায় মামলাটি তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, গতকাল শাহাবুদ্দীন নাগরী ও নূরানী আক্তার সুমির চারদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে। এদিকে, গতকাল মামলাটি অধিকতর তদন্তে ডিবি দক্ষিণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ১৭ এপ্রিল গ্রেফতারকৃত তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী। ২২ এপ্রিল তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড শেষ হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল নাগরী ও সুমিকে আদালতে হাজির করা হলে দুই আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম। এ ছাড়া তিনি মামলার অন্য আসামি গাড়িচালক সেলিম হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দফায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সুমি তার স্বামী নুরুল ইসলামকে গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সুমির জবানবন্দি পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেছে। এদিকে সুমি ছাড়াও একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন নাগরী। তবে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি।

নাগরী ও সুমির মোবাইল ফোনের কথোপকথনের কললিস্ট ও তাদের মধ্যে কথোপকথনের কয়েকটি ভয়েস রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে। নাগরী ধূর্ত প্রকৃতির। বারবার তার বক্তব্য পরিবর্তন করছেন এবং অসুস্থতার ভান করছেন। তিনি সুমির বক্তব্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ থাকছেন এবং প্রসঙ্গ পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল এলিফ্যান্ট রোডের ১৭০/১৭১ নম্বর ডোম-ইনো অ্যাপার্টমেন্টের ৪/বি ফ্ল্যাটে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ১৪ এপ্রিল নিহত ব্যবসায়ীর বোন শাহানা রহমান কাজল বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নূরুল ইসলামের স্ত্রী নূরানী আক্তার সুমি, তার বন্ধু কবি, গীতিকার ও সাবেক কাস্টমস কমিশনার শাহাবুদ্দীন নাগরীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ঘটনার পরপরই সুমি ও গাড়িচালক সেলিমকে এবং ১৭ এপ্রিল নাগরীকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ খবর