শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রাইম ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রাইম ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপকসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার বিকালে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ চার্জশিট সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর রাজধানীর আদাবর (ডিএমপি) থানায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং-১৪)। পরে মামলাটির তদন্তের ভার দুদককে দেওয়া হয়। আসামিরা হলেন— প্রাইম ব্যাংকের রিং রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফা, একই শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার জাহানারা বেগম, সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (এইচআর) জাহিদুল ইসলাম খান, মেসার্স আরাফাত ট্রেডার্স নামক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত আলী খান, মেসার্স তামান্না ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আবদুল হাই ও তার স্ত্রী রওশন আরা হাই, মো. শহিদুল ইসলাম এবং মো. হাবিবুর রহমান।

 দুদক জানায়, আসামি গোলাম মোস্তফা রিং রোড শাখার ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার আত্মীয়দের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে ঋণ দেন। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো জামানত কিংবা কাজগপত্র নেওয়া হয়নি। ম্যানেজার জাহানারা বেগম অসত্ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই এসব বিধিবহির্ভূত ঋণপত্রে সই করেন। রেকর্ডপত্র ছাড়াই ভুয়া প্রতিষ্ঠান আরাফাত ট্রেডার্সকে দুই কিস্তিতে ৪০ লাখ, জামানত এবং ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই তিনটি ভুয়া এলসির বিপরীতে মেসার্স তামান্না ট্রেডার্সকে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার, ঋণ মঞ্জুরি পত্রের শর্ত ভঙ্গ করে এবং একটি ভুয়া এফডিআর বন্ধক দেখিয়ে ৬০ লাখ টাকা। ওই ব্যবস্থাপক নিজের কথা বলে ২৫ লাখ এবং দুটি ভুয়া এফডিআর বন্ধক দেখিয়ে ১১ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৫ টাকা উত্তোলন করেন। এভাবে তারা ব্যাংক থেকে এবং গ্রাহকদের নামীয় ঋণ হিসাব থেকে সর্বমোট ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার ৪৪৬ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।

সর্বশেষ খবর