মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা

রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ফের যান চলাচল বন্ধ

রাঙামাটি প্রতিনিধি

টানা বর্ষণের মুখে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ফের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পাহাড়ধসের শঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। রাঙামাটিতে চার দিনের টানা বৃষ্টিতে নতুন করে পাহাড়ধসের প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। কারণ অব্যাহতভাবে ভাঙছে সড়ক এবং ঘরবাড়ি। জেলাজুড়ে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট ছোট পাহাড়ধসের ঘটনা। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, গত ১৩ জুন পাহাড়ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সবগুলো সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন অংশ বিধ্বস্ত হওয়ায় রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কটি সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টানা মেরামতের পর ১৫ জুলাই হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় আবার ধসের আশঙ্কায় সাময়িকভাবে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের ৮ কিলোমিটার স্থানে কুতুকছড়ি খামারপাড়া হতে কিচিংপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে আছে। এ ছাড়া সড়কটির ২০ থেকে ২৫টি স্থানে মারাত্মক ধস হয়েছে। মেরামতের কাজও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিপাতে আবার ধসের আশঙ্কা বেড়েছে।

জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিপাতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। এতে রাঙামাটি জেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। পাহাড় ও কাপ্তাই হ্রদ ঘেঁষে বসবাসরত মানুষগুলোর দিন কাটছে আতঙ্কে। কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে স্বাভাবিক অবস্থায় পানি থাকে ৮৭.৫২ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু হ্রদে বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৫.৩৯ ফুট (এমএসএল)। প্রয়োজনের তুলনায় হ্রদে ১৮ ফুট পানি বেশি রয়েছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্রদে প্রতিদিন পানির পরিমাণ বাড়ছে। এতে কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া শুরু হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর