ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে কিছু অপ্রাসঙ্গিক, অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের অবতারণায় অনভিপ্রেত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। গতকাল বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মো. মনিরুজ্জামানের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে কিছু অপ্রাসঙ্গিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। ফলে একটি অনভিপ্রেত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে আইনসম্মত, গণতান্ত্রিক সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে আমরা আরও উদ্বিগ্ন বোধ করছি। এতে আরও বলা হয়, রায়ের পরে রায়কে কেন্দ্র করে অত্যন্ত সুকৌশলে নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে একটি অচলাবস্থা তৈরির অপপ্রয়াসও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন— ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, ড. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান, ড. আনোয়ার হোসেন, ড. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক রাহাত খান, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, আতাউর রহমান, শাহরিয়ার কবির, মোহাম্মদ জমির, ওয়ালিউর রহমান, ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, ড. আতিউর রহমান, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শিল্পী হাসেম খান, শিল্পী রফিকুন্নবী (রণবী), চিত্রনায়ক ফারুক, চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর, অধ্যাপক নিসার হোসেন, অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শফিকুর রহমান, শিল্পী মো. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার ও গোলাম কুদ্দুস।
