বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফেসবুকে বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ফেসবুকে বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় জেমি আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে  আত্মহত্যা করে।

জেমি উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আরাফাত হোসেন আরিফ (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। আরাফাত একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে জেমিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় স্কুল ছাত্র আরিফ। কিন্তু মেয়েটি তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় আরাফাত জেমির প্রতিবেশী জসিম উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিফের (১৫) সহায়তা নেয়। তারা দুজন মিলে স্কুল যাওয়া আসার পথে প্রায় সময়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় মেয়েটি মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে জানতে পারে, আরাফাত তার নিজের ফেসবুক আইডিতে জেমির বিকৃত ছবি আপলোড করে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে জেমি কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তার বড় ভাই রনি ফেসবুকে ওই ছবি দেখে জেমিকে বকাবকি করে। একপর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সেলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে জেমি আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আরাফাত হোসেন আরিফকে গতকাল দুপুরে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। হাতীবান্ধা থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, ‘মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আরাফাত হোসেন আরিফকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামি আবদুল্লাহ আল আরিফকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর