রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ জন্য নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারকে সাধুবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন এবং সুজন-এর দৃষ্টিতে নির্বাচন’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।
এবং নির্বাচন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সুজনের সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, রংপুরের নির্বাচনে সফল হয়েছে এই নির্বাচন কমিশন। কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন হয়েছে। এখানে সরকার ও বিরোধী দলের লোক আছে। তবে বিরোধী দলের লোক নগণ্য। তবুও তারা রংপুরের সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছে। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এটা একটা সফল নির্বাচন। এই নির্বাচন অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা দেখিনি। সামান্য কিছু ব্যত্যয় থাকলেও প্রার্থী ও সমর্থকদের আচরণ ছিল সংযত। সরকার যদি সহায়তা করে এবং প্রশাসন যদি হস্তক্ষেপ না করে- তাহলে জাতীয় নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, রংপুর নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস মনে করলে ভুল হবে। এখানে ভোটাররা কোনো দলকে ভোট দেয়নি। সবাই এরশাদকে ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচন অ্যাসিড টেস্ট ছিল না। এটা ছোট নির্বাচন। তবে নির্বাচন ভালো হয়েছে। মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন বলেন, মাত্র তিনজন নারী প্রার্থী সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা আরও বাড়ানো দরকার, দলগুলো নারীদের মনোনয়ন দেয়নি। লিখিত বক্তব্যে পরিসংখ্যান তুলে ধরে সুজনের সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, এই নির্বাচনে ৪২.২২ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। মাত্র ২০ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পাস। এর মধ্যে নবনির্বাচিত মেয়রও একজন। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থী ৪.৪৪ শতাংশ। আর যাদের আয় ৫ লাখ টাকার কম তাদের নির্বাচিত হওয়ার হারও কম। যাদের আয় ৫ লাখ টাকার বেশি তাদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি।
