রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকার ভিন্ন উদ্দেশ্যে মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বন্দুকযুদ্ধে’ একরাম হত্যার অডিওই প্রমাণ করে মাদকবিরোধী অভিযানে সরকারের ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ ছিল— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এ অভিযানকে (মাদকবিরোধী অভিযান) প্রথমেই প্রশ্নবিদ্ধ বলেছি। এ অভিযান চালানো হয়েছে সম্পূর্ণভাবে একটি ভিন্ন উদ্দেশ্যে, একটি ভিন্ন কারণে। আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম যে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে কি না। আজকে এই অডিওর মধ্য দিয়ে, এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে চায়।’ গতকাল বিকালে এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর ধানমন্ডির ফখরুদ্দিন কনভেনশন সেন্টারে রংপুর মেডিকেল কলেজ জাতীয়তাবাদী প্রাক্তন ছাত্রকল্যাণ পরিষদ এ ইফতারের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও ডা. আবুল কানানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, সহসভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাক রহিম স্বপন, চিকিৎসক এ কে এম মোজাম্মেল হক, এ টি এম ফরিদউদ্দিন, ফরহাদ হাসান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সরকারের দমননীতির কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের (সরকার) যে দুঃশাসন, তাদের যে অন্যায়-অত্যাচার-হত্যা, কল্পনা করা যায়! একটা স্বাধীন মুক্ত দেশে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে, তার কোনো বিচার হবে না? বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড— এ  কোন  দেশে বাস করছি আমরা! এটা কি সেই জঙ্গলের মধ্যে, জঙ্গি আইন এখানে আছে! এগুলোকে প্রতিরোধ করে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আজকে আমাদের পথে নামতে হবে। পথেই এদের পরাজিত করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে এ সরকার পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই সংসদে ও শাসনব্যবস্থায়। দেশে সুশাসন বলতে কিছু নেই, দুঃশাসন পুরোপুরিভাবে। সে কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। চালের দাম যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে হারে দাম বেড়েছে, যেটা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কেউ কোথাও কোনো বিচার পায় না। না আদালতে বিচার রয়েছে, না অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। যারা ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন, তারা শুধু ভিন্নমতের হওয়ায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ পান না। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তাদের শিল্পকারখানা পড়ে থাকে। এটা একটা খণ্ডিত চিত্র।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর