রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশে করবান্ধব সংস্কৃতি চালু করতে হবে

—প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করের বিস্তৃতি প্রসারের জন্য দেশে করবান্ধব সংস্কৃতি চালু করতে হবে। জনগণ যাতে অযথা হয়রানি না হয়, সে লক্ষ্যে রিটার্ন দাখিল ও সম্পদবিবরণী দাখিলের পদ্ধতি সহজ করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প বিরোধের মাধ্যমে করবিষয়ক মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী হলে কর তথা রাজস্বসংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। একইসঙ্গে রাজস্ব বাড়বে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মাসিক পত্রিকা ‘করাদালত’-এর তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বলা হয়, যারা কর দেন তারাই সমস্যার মুখে পড়েন, আর যারা কর দেন না তাদের কোনো সমস্যা হয় না। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

দেশের বিদ্যমান কর আইনকে গবেষণা করে আরও সহজীকরণ করা হলে জনগণ কর দিতে উৎসাহিত হবে। করব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা এখন সময়ের দাবি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সরকার রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে করনীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্বের ৫০ শতাংশ আয়কর খাতে আদায়ের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। এক দশক আগেও এনবিআর আয়কর খাতে রাজস্বের মাত্র ২০ শতাংশ আদায় করত। এরই মধ্যে সরকার এ হার ৩৫ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা আমাদের আশাব্যঞ্জক এবং পরার্থপরতার অর্থনীতি থেকে আমরা পরিত্রাণ পাচ্ছি। আশা করি কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

করাদালত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আইনজীবী আবু আমজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম ও ট্যাক্সেস ল ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল হুদা।

সর্বশেষ খবর