সারা দেশের মতো রাজধানীতেও জেঁকে বসেছে শীত। নিতান্ত কাজ না থাকলে পৌষের এই রাতে মানুষ সাধারণত চার দেয়ালের বন্দী থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। হাওয়ায় সুরের আশ্রয়ে উষ্ণতা খুঁজে পেতেই মরিয়া থাকের সুরের সমঝদাররা। গতকাল পৌষের কনকনে শীতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি আর অসমীয় সুরে উষ্ণতা খুঁজে নিয়েছে রাজধানীর সংগীতানুরাগীরা।
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনের এই সুরের আসরে সংগীতের দ্যোতনা ছড়িয়ে দেয় ভারতের আসামের ব্যান্ড দল ‘মু অ্যান্ড দ্য শুটিং স্টারস’। ‘সোনার বরণ’ গানটির পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সুরের ঝাঁপি খুলেন গায়ক মৃন্ময়ীর এই দলটি। এরপর অসমীয় ভাষায় তারা পরিবেশন করে ভূপেন হাজারিকার ‘যখোরা’ গানটি।
থিয়েটার ৫২-এর ‘ঋত্বিক’ : উপমহাদেশের বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক। চলচ্চিত্রের কীর্তিমান এই ব্যক্তিত্বের হাত ধরেই বাংলা চলচ্চিত্র এগিয়ে যায় সমৃদ্ধি ও সফলতার দিকে। গুণী এই মানুষটির জীবনের পরতে পরতেই ছড়িয়ে আছে প্রতিভা। বাংলা চলচ্চিত্রকে শৈল্পিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের জীবনকেও করেছেন বর্ণাঢ্য। প্রথিতযশা এই চলচ্চিত্রকারের জীবনের নানা ঘটনা নিয়েই নাটকের দল থিয়েটার ৫২ মঞ্চে এনেছে ভিন্নঘরানার নাটক ‘ঋত্বিক’।গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় দলের চতুর্থ প্রযোজনার এই নাটকটি।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক নিয়ে তার বিপ্লবী ভাবনার কথা, সাত চল্লিশের দেশভাগের পটভূমি, দেশভাগের কারণে শরণার্থী জীবনকে বেছে নিতে বাধ্য হওয়া ঋত্বিকের বেদনার আখ্যান ইত্যাদি বিষয়গুলো নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
মিজানুর রহমান রচিত ও নির্দেশিত ‘ঋত্বিক’ এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত, জয়ীতা মহলানবীশ, নজরুল ইসলাম সোহাগ, আদিব মজলিস খান, আদ্রিতা রহমান, মোহাম্মদ সৈকত আহম্মেদ রনি, মোহাম্মদ রাসেল খান আয়াশ, আইরিন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ ইব্রাহিম তারেক প্রমুখ।