সোমবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
দুদকের নোটিস

ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালকের বিপুল অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদকের কর্মকর্তারা রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে রাজধানীতেই পাঁচটি বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি এবং কুমিল্লাতে একরের পর একর জমি রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। অন্যদিকে রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী সালমা পারভীনের নামেও কুমিল্লাতে জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পেয়ে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে দুদক। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত নোটিসে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানান দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরার ৫নং সেক্টরের ২ নং রোডে সাততলা একটি বাড়ি আছে। আর মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয় তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা আবাসিক এলাকার মিল্কভিটা রোডে চার তলা ফ্ল্যাট বাড়ি, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ডি ব্লকে ২০২ নং ৪ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর পাঁচটি  দোকান ও টিনশেড বাড়ি এবং পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি করেছেন রমিজ উদ্দিন। এ ছাড়া ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে রমিজ উদ্দিনের ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরের পর একর জমি।  জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে- বেনামে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা আছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে  ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

২০১৮ সালের শেষ দিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান এ অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর