মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডা. লিটু ছিলেন গরিবের ডাক্তার

মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাইতে পারা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সেরকম বিরল মানুষ ছিলেন ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু। তিনি ছিলেন গরিবের ডাক্তার। তার মধ্যে ছিল মানুষের জন্য কাজ করার অতৃপ্ত বাসনা। গতকাল শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটুর স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ। স্মরণসভায় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, মানুষের হৃদয়টা নিয়ে তিনি সারা জীবন কাটিয়ে দিলেন। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, যে মানুষের খেয়াল রাখতে গিয়ে তিনি নিজের খেয়াল রাখতে পারেননি, নিজেকে অসুস্থ করে ফেলেছিলেন। এই মানুষটার তো এত তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার কথা ছিল না। আমাদের প্রত্যাশা, লিটুদের মতো মানুষরা বারবার এই দেশে জন্মগ্রহণ করুক। তাহলে এই দেশ, সমাজ পরিবর্তন হবে।

 অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ডা. লিটু একজন আত্মপ্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন গরিবের মানুষ। সোজাসুজি কথা বলার মতো সৎ সাহস তার মধ্যে ছিল। তার মধ্যে বন্ধুবাৎসল্য ও সবাইকে সহযোগিতা করার মানসিকতা ছিল।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের এই দেশ পরিবর্তনে তার মতো ডাক্তার আরও দরকার। মানুষের জন্য কাজ করার আকুতি তার ছিল। তিনি প্রায়ই আমার কাছে ডাক্তারদের নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ করতেন, পরামর্শ চাইতেন। তার এই অকালপ্রয়াণ আমাদের সবাইকে কষ্ট দিচ্ছে। মানুষকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই আমরা তাকে স্মরণ রাখতে পারি।

শ্যামল দত্ত বলেন, মৃত্যুর মুখে পতিত হতে হতে যারা জীবনের জয়গান গাইতে পারেন, লিটু ভাই সে রকমই একজন বিরল মানুষ। ডা. লিটুর হাতেগড়া সংগঠন ‘পেশেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে’র সভাপতি অধ্যাপক কাজী শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন লুবানা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ জহিরুল ইসলাম, ডা. অভিজ্ঞান হালদার অভিসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মেরিনা নাজনীন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর