টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তুলতে নির্দেশনায় একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা এ-সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করে। এতে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শ্রেণিকক্ষের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতের জন্য পরিচ্ছন্ন ব্যাগ, টিফিনবক্স ও পানির পাত্র ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করবেন শিক্ষকরা।
শ্রেণিকক্ষের সামনে ময়লা-আবর্জনার বিন ও ক্লাসরুমের চেয়ার-টেবিল-ব্ল্যাকবোর্ড পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলে ও মেয়ের জন্য পৃথক ওয়াশব্লকের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একাধিক মনিটরিং টিম থাকতে হবে। খেলার মাঠ পরিষ্কার ও খেলাধুলার উপযোগী রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের দেয়ালে নীতিবাক্য ছাড়া অন্য দেয়াললিখন বন্ধ করতে হবে। স্থান থাকা সাপেক্ষে মৌসুমি ফুলের বাগান করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না করে প্রতি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের ব্যবস্থা করবেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া অভিভাবক সমাবেশ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আলোচনার আয়োজন করবে। মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের এ নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।