নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যসচেতন করে তুলতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যসচেতন করে তোলার দায়িত্ব অনেকটাই আমাদের। যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা আর অহংকারের বিষয়গুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে না দেই, তাহলে তারা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে না। তাই প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে তাদের শিকড়ের সন্ধান দিতে হবে, জানাতে হবে আমাদের গৌরবদীপ্ত অতীতের কথা। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান কেন্দ্র নয় বরং তা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে এবং তাদের বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মুক্তচিন্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা, জাতিগঠনমূলক কর্মকা , সমকালীন ভাবনা, সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদি সৃজনশীল কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।তিনি বলেন, শিক্ষা সমাজকে বিকশিত করে, কিন্তু নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত শিক্ষা সমাজ, দেশ ও জাতির কোনো উপকারে আসে না।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিসহ সুষম উন্নয়নের জন্য সৃজনশীল ও মেধাসম্পন্ন জনবল অপরিহার্য জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আলোকিত মানুষরাই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
কর্মবিমুখ শিক্ষা হতাশার জন্ম দেয়, প্রতিভার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই পাঠ্যক্রম এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে একজন শিক্ষার্থী তার অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
