বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

তিন স্বজন খুনে মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়ি, শ্যালিকা ও ভাগ্নিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি মো. আল ইসলাম জীবনকে মৃত্যুদ  দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগরের ৮ নম্বর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মাজহারুল হক সাংবাদিকদের জানান, আসামি জীবনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাদীপক্ষের ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ইসলামবাগের রাশিদা বেগম, তার মেয়ে সীমা ও নাতনি বন্যাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০১৬ সালে আসামি জীবনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাশিদা বেগম তার দুই মেয়ের মধ্যে সুমির সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার নূরুল হক সরদারের ছেলে আল ইসলাম জীবনের কাছে বিয়ে দেন। জীবন ও সুমির দুই সন্তানের নাম জুঁই ও সানী। দ্বিতীয় সন্তান সানীর জন্মের সময় আসামি জীবনের স্ত্রী সুমির মৃত্যু হয়। সুমির শেষ ইচ্ছা অনুসারে রাশিদা বেগম দুই নাতি-নাতনিকে তার নিজের কাছে রাখতে আদালতে মামলা করেন।

 আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেয়। রশিদার আরেক মেয়ে সীমা, তার স্বামী সোহাগ এবং তাদের মেয়ে বন্যাও থাকতেন একই বাসায়। আসামি জীবন বিভিন্ন সময়ে বাচ্চাদের দেখার জন্য শাশুড়ি রাশিদা বেগমের বাসায় যেতেন। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই দুপুরে ওই বাসায় সন্তানদের নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাশিদা বেগমকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন জীবন। সীমা ও বন্যা তাকে ঠেকাতে গেলে জীবন তাদেরও কুপিয়ে জখম করেন। জামাতার ওই আক্রমণে রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সেদিন বিকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্যা। আর তার মা সীমার মৃত্যু হয় ৬ জুলাই। এ ঘটনায় রাশিদা বেগমের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন ওই বছরের ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে আসামি জীবন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

সর্বশেষ খবর