রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সমুদ্র অর্থনীতির বিকাশে নীতিমালা দেখতে চায় চীন

-ঢাকা চেম্বারে রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতির বিকাশে নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি খাতে সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। তাই এ খাতের যথাযথ বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য।

গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো।

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এলভি ইয়াং, ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আন্দালিব হাসান, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার প্রমুখ।

চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো তার দেশের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কার্যক্রমটি তুলে ধরে বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনের দিনগুলোয় এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন ও বিনিয়োগে চীন বৃহত্তম অংশীদার। নিকট ভবিষ্যতে এ খাতের নতুন প্রকল্পসমূহে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চীনের ২০০ বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রায় ২০০টির মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাও এ দেশে বিনিয়োগ করেছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পসমূহে বিনিয়োগ করেছে এবং আশা করি সামনের দিনগুলোয় এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

সর্বশেষ খবর