ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দ্বারা ঢাবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার বিচার ও বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে এতে সংহতি জানান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এবং এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ ডাকসুর অন্য নেতৃবৃন্দ। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে পলাশী এলাকায় বহিরাগত একদল যুবকের হাতে মারধরের শিকার হন আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম। এতে তাজুলের হাত ভেঙে যায়।
এ ঘটনার বিচার এবং বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে মানববন্ধনে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে যোগ দেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিনা অর্ণি প্রমুখ। ভুক্তভোগী তাজুল ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ বের করা হয়। পরে প্রক্টর অফিসের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত সমস্যা দীর্ঘদিনের। যে কোনো বিষয়ে প্রশাসনকে জানালে তারা ‘গা ছাড়া’ ভাব দেখায়। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণের বিষয়ে অভিযোগ করলে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা সিটি করপোরেশনের আওতায়। অথচ গত বছর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সঙ্গে বুয়েটের সমস্যা হলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহিরাগত ও বহিরাগতদের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে। আজ শুক্রবার ডাকসুতে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বাইরের মানুষের কারণে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ বিঘিœত হয়। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হবে শিক্ষার্থীরা। তাদের সুবিধার জন্যই প্রশাসনকে কাজ করতে হবে।