অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে পৃথক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল অভিযান দুটি চালানো হয় বলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে। দুদকের হটলাইনে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালায় সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল। দলটি টিকিট কালোবাজারির অভিযোগের বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হকের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন কাউন্টার পরিদর্শন করে সেবার মানোন্নয়নে পরামর্শ দেয়। এ ছাড়া দুদকের দলটি স্টেশনে উপস্থিত টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে তথ্য নেয়। কিছু সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়। স্টেশন ম্যানেজার জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর কালোবাজারি কমেছে। সব ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হলে কালোবাজারি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে তিনি মনে করেন। জামালপুরগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি কিছু পুলিশ সদস্য দখল করে টিকিটধারী যাত্রীদের আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে জেনে তা খতিয়ে দেখে দলটি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জিআরপি থানার এসপি (প্রশাসন) শেহেলী পারভীনকে জানানো হলে ট্রেন গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংস্থার ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম বজলুর রশিদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুদকের দলটি জানতে পারে, সাবরেজিস্ট্রার ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে জাল দলিলের মাধ্যমে পৌনে চার একর জমি হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডের কারণে জনরোষ তৈরি হলে তাকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বদলি করা হয়। দুদকের দলটি জাল দলিলের অভিযোগ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র জব্দ করে। এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে দুদক জানিয়েছে।
