শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভালো কোম্পানির অভাবে স্থিতিশীল হচ্ছে না পুঁজিবাজার : ড. মসিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব রয়েছে। দেশের বৃহৎ কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসছে না। তিনি বলেন, ভালো কোম্পানি আনতে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি সক্ষম পুঁজিবাজার দরকার। গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থসূচক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন,  শাকিল রিজভী,  নাছির চৌধুরী প্রমুখ।

মসিউর রহমান বলেন, আমাদের সঞ্চয় যেভাবে বাড়ছে, বেসরকারি বিনিয়োগ সেভাবে বাড়ছে না। পুঁজিবাজার ছাড়া বড় বিনিয়োগ সম্ভব নয়। কারণ বাজারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে বড় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তাই ব্যাংকনির্ভর বিনিয়োগ কমিয়ে উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারনির্ভর হবেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের এককভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। তবে সবার একত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক। এই বাজারের সুবিধা হলো, বিনিয়োগকারীর দায় শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ। আরেকটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, সহজেই বিনিয়োগ এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে স্থানান্তর করা যায়। তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে না। এটি বাড়ানো দরকার, যা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে খুব সহজেই করা সম্ভব।

বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, গত আট বছরে পুঁজিবাজার কখনো অস্থিতিশীল হয়নি। বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন বাজার আগের চেয়ে বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। আগের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে চতুর্থবারের মতো পুঁজিবাজার মেলার আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

সামান্য উত্থান শেয়ারবাজারে : দেশের উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক সামান্য বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৬০ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.১৩ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৬৯ ও ১৯৪৮ পয়েন্টে। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার, যা আগের দিন থেকে ৮৮ কোটি টাকা কমেছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫১ কোটি টাকার। ডিএসইতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৫৭টির বা ৪৫ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৩৭টির বা ৪০ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির বা ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৪০ পয়েন্টে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দর। সিএসইতে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর