দরপতনে শেয়ারবাজারের লেনদেন নেমেছে সাড়ে তিনশ কোটি টাকায়। গতকাল শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এবং টাকার পরিমাণে  লেনদেন কমে সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে নেমে গেছে। লেনদেনে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে। যা ৩ মাস ১০ দিন বা ৬৫ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর আজকের চেয়ে কমে অবস্থান করছিল ডিএসইএক্স। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৫৮ ও ১৯৪২ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে  লেনদেন ৩ মাস ২০ দিন বা ৭২ কার্যদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডিএসইর লেনদেন এর চেয়ে কম হয়েছিল। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩১৪ কোটি টাকার। ডিএসইতে ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে  শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭২টির বা ২১ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৩৬টির বা ৬৯ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির বা ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের।

 ডিএসইতে লেনদেনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার দর একদিনে প্রায় ২৯৫০ টাকা কমে ১৬১৬ টাকা হয়েছে। টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার  লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ফরচুন সুজ এবং ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা  লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল। টপটেন লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে - গ্রামীণফোন, মুন্নু সিরামিক, ইস্টার্ন ক্যাবলস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ন্যাশনাল পলিমার এবং ন্যাশনাল টিউবস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৫৮ পয়েন্টে। সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে  শেয়ার দর বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দর। সিএসইতে ৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।