রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে হতাহতের মামলায় ভবন মালিক বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম ও প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সাত দিন রিমান্ড শেষে গতকাল আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় ভবন মালিক তাসভীরকে কারাগারে আটক রাখার এবং প্রকৌশলী ফারুককে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে প্রকৌশলী ফারুক আদালতে জবানবন্দি না দিতে চাইলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর প্রকৌশলী ফারুকের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মুনসুর রিপন ও তুহিন হাওলাদার এবং ভবন মালিক তাসভীরের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিন ও চিকিৎসার জন্য শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী জামিন আবেদন নাকচ করে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার নির্দেশ দেন।মামলাসূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর ২৩ তলা ওই ভবনে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। পরে অভিযোগ ওঠে ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ভবনটি ২৩ তলা করা হয়েছিল এবং অগ্নিনিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা সেখানে ছিল না। এ ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়। পরে তাসভীর ও ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে, এফআর টাওয়ার যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেই জমির মূল মালিক ছিলেন এস এম এইচ আই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার। পরে নির্মাণ কোম্পানি রূপায়ণ বিভিন্ন ফ্লোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেয়। এর মধ্যে ২১, ২২ ও ২৩ তলার মালিকানা রয়েছে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হাতে। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনিই ওই ভবনের পরিচালনা কমিটির সভাপতি।