শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর দাবি করেছে এমসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের দাবি করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। সংগঠনটি করহার কমানোর দাবি জানিয়ে বলেছে, ব্যক্তিগত আয়কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হোক। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক্্-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয় এমসিসিআই। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন এমসিসিআইর সহসভাপতি গোলাম মইনুদ্দিনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অনেক ই-টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না। তারা যাতে রিটার্ন দাখিল করেন বা তাদের করের আওতায় আনা যায় সে ক্ষেত্রে পেশাজীবীরা সহযোগিতা করতে পারেন। তাই সব ই-টিআইএনধারীর রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। বর্তমানে ৩৮ লাখ ই-টিআইএনধারীর মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২০ লাখ।’ এমসিসিআইর সহসভাপতি গোলাম মইনুদ্দিন বলেন, সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা হোক। আয়কর অধ্যাদেশ ৩০(জ) ধারাটি রয়্যালটি, কারিগরি সেবা ফি, কারিগরি জ্ঞান ফি বা কারিগরি সহায়তা ফি খাতে কর্তনের অনুদানযোগ্য সীমা হিসেবে হিসাববিবরণীতে প্রকাশিত নিট লাভের ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নির্দেশিকা ও বিআইডিএর পূর্বানুমোদিত ছাড়া উপরোক্ত খাতের অধীনে ৬ শতাংশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স টার্নওভার অনুমোদন করে।

সভায় এ বিষয়টি বিশেষ বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ব্যক্তিগত করদাতার আয়কর হার ৩০ শতাংশ। এর আগেও আমরা করের হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু এনবিআর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করেছে। এই সর্বোচ্চ হারের সামান্য হ্রাস ব্যক্তিকরদাতাদের ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকার আয় প্রকাশের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে এবং কর ফাঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই কোনোভাবেই তা ২৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে হওয়া উচিত হবে না।

প্রাক্্-বাজেট আলোচনায় ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকার পরিবর্তে তিন লাখ টাকা এবং ব্যক্তিশ্রেণির নিট পরিসম্পদ সাড়ে তিন লাখ টাকা হলে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছে। সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এক বছরের মধ্যে আমদানি করার বিধান রয়েছে। সেটি সংশোধন করে সময়সীমা বাড়ানো হোক।

সর্বশেষ খবর