শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি ওই পদের জন্য নেওয়া সাক্ষাৎকার (মৌখিক পরীক্ষা) বাতিল করে আবার পরীক্ষা নিতে চাকরিপ্রত্যাশী মো. এমদাদুল হকের আবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে উপাচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভালো ফলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পাওয়া এমদাদুল হকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়।

 আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

গত ২৭ মার্চ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগের সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এমদাদুল হক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছানোর পর সাতজন শিক্ষার্থী পথ আটকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের এক কোণে নিয়ে যায় এবং টাকা দাবি করে বলে এমদাদুলের অভিযোগ। তার আইনজীবী বলেন, টাকা না দেওয়ায় ওই মাঠে তাকে এক দফা এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্যাগোডায় নিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে নিয়ে আবারও মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে বলা হয়, তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টর ও ভিসিকে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুলিশ এমদাদুলকে হাটহাজারী থানায় নিয়ে যায়। সেদিন বিকালে ওসি এসে পুরো ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। থানার ডিউটি অফিসার তাকে একটি শার্ট এনে দেন যাতে তিনি গায়ের ছেঁড়া পোশাক বদলে নিতে পারেন। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে এক বন্ধুর বাসায় চলে যান এমদাদুল।

ওই ঘটনার পর ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এমদাদুল হক। সেখানে তাকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া না পেয়ে হাই কোর্টে এ রিট আবেদন করা হয় বলে জানান এমদাদুলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

সর্বশেষ খবর