বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সোনা আমদানির প্রস্তুতিতে সময় বাড়ল তিন মাস

----- এনবিআর চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোনা আমদানির প্রস্তুতি নিতে ব্যবসায়ীদের জন্য আরও তিন মাস সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, সোনা আমদানির বিষয়ে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। তাই সোনা আমদানি ঘোষণার সময় আরও তিন মাস বাড়ানো হবে। এই বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানাব।

গতকাল সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট সভায় সোনা ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে এ ঘোষণা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া। তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট অনুসারে কাজ করতে হয়। আগে বিদেশ থেকে কে কোন রেটে সোনা আমদানি করতে পারবে সেটা নির্ধারিত ছিল। সেজন্য এটার ওপর কাজ করিনি। আমাদের পরিকল্পনা হলো ফাইন্যান্স অ্যাক্টে পয়লা জুলাই থেকে কার্যকর করা।

ওই প্রাক-বাজেট সভায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সহসভাপতি এনামুল হক খান বলেন- স্বর্ণ নীতিমালা কার্যকর করার জন্য এনবিআর ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স দিচ্ছে না। অথচ আগামী ৮ মে মেয়াদ শেষ। এই সময়ের মধ্যে আমাদের যে গোল্ড (সোনা) আছে তার ডিক্লারেশন করতে হবে। এটা স্বর্ণ নীতিমালায় আছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সোনা আমদানির যেসব অ্যাক্ট সংশোধন করতে বলা হয়েছে,  সেগুলোর একটিও করা হয়নি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাব না। আমদানি নীতিমালা না হলে ভ্যাট নেবে না, আমাদের সার্টিফিকেট দেবে না। পাশাপাশি ১ হাজার টাকার বিনিময়ে দায়মুক্তির সার্টিফিকেটও দেবে না।

এনামুল হক খান বলেন, ধনীরা আমাদের দেশ থেকে সোনা কিনছে না। তারা ভারত থেকে স্বর্ণালঙ্কার কিনছে। কারণ দেশের বাজার থেকে সোনা কিনলে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। আর বিদেশ থেকে ১০০ গ্রাম সোনা আনতে কোনো কর দিতে হয় না। ফলে তারা বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে আসছে।

ওই সভায় জুয়েলারি সমিতির লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়- সোনা বিক্রির ওপর ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করা, সোনা শিল্পের বিকাশের জন্য আমদানির ওপর প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের (এক ভরি) জন্য সর্বমোট ১০০ টাকা করারোপ করা। মূসক নিবন্ধকারী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, মূসক ১ দশমিক ৫ শতাংশ রাখা এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর