বুধবার, ২২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকা উচিত : ড. রুবানা হক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, দেশের পুরো যুবশক্তির সিংহভাগ মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন। তারা হতাশ। এই যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকা উচিত। কারণ তাদের আস্থা কম, আস্থার জায়গায় ঘাটতি আছে। উৎপাদনশীলতার কথা বিবেচনার আগে ভাবতে হবে যুবক কি এবং তারা কি চান। তারা কিন্তু এক ধরনের আস্থাহীনতায় ভুগছেন।

গতকাল রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ কনফারেন্স রুমে ইআরএফ ও অ্যাকশনএইড যৌথভাবে আয়োজিত ‘যুব জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ : বাজেটে প্রতিফলন কী?’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।

 এতে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. তাহমিনা আখতার, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম। সেমিনারে যুব বাজেট নিয়ে গবেষণাপত্রটি তুলে ধরেন সাংবাদিক আসজাদুল কিবরিয়া।

সেমিনারে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, আমাদের মিড লেবেল ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মীদের পেছনে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। দক্ষ কর্মশক্তি গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। ন্যাশনাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল অব ইনিশিয়েটিভ গঠন করা হয়েছে। যুবশক্তির উন্নয়নে ২২টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমাদের এখন প্রয়োজন সমন্বয়। কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশে কাজ করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বাজেটে তরুণদের মানসিক বিকাশের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। তরুণরা আস্থাহীনতায় ভোগেন। তাদের আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। যুবকদের উন্নয়নে বিভিন্ন সভা-সেমিনার হয়। কিন্তু আমরা এখনো কোনো কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করতে পারিনি। যেসব কর্মক্ষেত্রে নতুন বাজার রয়েছে, তরুণদের সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করা দরকার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে যুবকদের জন্য ‘উদ্ভাবনী ফান্ড’ গঠন করতে হবে। বাজেটে এ জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। যুবকরা বহু নতুন নতুন আইডিয়া হাতে নেয়, কিন্তু অর্থের জন্য বাস্তবায়ন করতে পারে না।

বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, বাজেটে তরুণদের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য উন্নয়নসহ সব বিষয়ে শিশুদের মানসিক বিকাশে সুস্পষ্ট বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। শিশু ও যুবশক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অনেক শিশু পুষ্টিহীনতায় আছে। পুষ্টিহীনতায় থাকলে আমরা কর্মময় যুবশক্তি পাব না। তা করতে না পারলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। আমাদের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি তৈরি করতে হবে। আমাদের ইনফরমাল ইকোনমিতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ যুবক কাজ করে। মাত্র ১০ শতাংশ ফরমাল ইকোনমিতে কাজ করে।

সর্বশেষ খবর