একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮ কোটি টাকা উদ্ধারের মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন আবেদন করায় দুই আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে হাই কোর্ট। গতকাল তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ৩০ দিনের মধ্যে এক লাখ টাকা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে এবং বাকি এক লাখ টাকা জাতীয় অন্ধ কল্যাণ ট্রাস্টে জমা দিয়ে, তার ১০ দিনের মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করতেও বলা হয়েছে আদেশে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল পারভেজ। পরে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, একাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য মতিঝিল সিটি সেন্টারের আমেনা এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড করপোরেশনে বসে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় টাকা পাঠানোর সময় র্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে নগদ ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকা উদ্ধারসহ ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ২৩টি চেক উদ্ধার করে।
একই সঙ্গে আমেনা এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন ও তার অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে আটক করে। এ ঘটনায় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় র্যাবের ডিএডি মো. ইব্রাহিম হোসেন মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় ৩ এপ্রিল নিম্ন আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে। পরে ৫ মে তারা হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। ৭ মে হাই কোর্ট তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে। তখন জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আঞ্জুমান আরা বেগম। পরে এ তথ্য গোপন করে ফের ২২ মে একই বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন এই দুই আসামি। গতকাল শুনানিতে বিষয়টি ধরা পড়ায় দুই আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত। একই সঙ্গে তাদের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়।