বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন রাউধা

পিবিআইর চূড়ান্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বহুল আলোচিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মডেল রাউধা আতিফ আত্মহত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বিকালে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন রাউধা- চূড়ান্ত এই প্রতিবেদনেও একই কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী পিবিআইর উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাউধা আত্মহত্যার মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদলাত। এর পর থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তবে মামলার দীর্ঘ তদন্তে মডেলকন্যা রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলেই তথ্য মেলে। এ ঘটনায় হত্যার কোনো আলামত মেলেনি বলেও উল্লেখ করেন চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এসআই সাইদুর রহমান বলেন, প্রেম-বিচ্ছেদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন রাউধা। তার শেষ রিসিভ করা ফোনকল ছিল তার বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির। তার পাঠানো শেষ মেসেজ ছিল ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। (আমার আর কিছুই থাকল না)।’ এর আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মডেলকন্যা রাউধা আতিফের ভিসেরাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায় মালদ্বীপ দূতাবাস। এরপর চাঞ্চল্যকর এই আত্মহননের মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর রাজশাহী কার্যালয় থেকে এসব কাগজপত্র পাঠানো হয়।

পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, মডেলকন্যা রাউধা যে আত্মহত্যাই করেছিলেন তা পিবিআইর তদন্তেও পাওয়া গেছে। তারা রাউধার আত্মহত্যার তদন্তকাজ শেষ করে গতকাল এ ঘটনায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এদিকে পুলিশ, সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত কার্যক্রম শেষে পঞ্চমবারের মতো এ বিষয়ে তদন্তকাজ চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই। রাউধা রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে রাউধাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই শাহ মখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিটি সংস্থার তদন্তেই তার আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে রাউধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বার বারই এ আত্মহতার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

সর্বশেষ খবর