ডাকসু নির্বাচনে বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ওই ভোটে অনিয়মের কোনো প্রমাণ পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপিত হয়। সেখানে অনিয়মের প্রমাণ না পাওয়ার কথা উঠে এসেছে বলে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য জানিয়েছেন। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ খারিজ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তারা। খবর, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। উল্লেখ্য, ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনের সকালে কুয়েত-মৈত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বস্তাভর্তি ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। এছাড়া বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বাধাসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে। অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ভোট শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। ওই নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২১ মার্চ সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে যেসব অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে, সেই অভিযোগগুলোর উল্লেখযোগ্য কোনো সত্যতা না পাওয়া যায়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির কাছে এমন কেউ অভিযোগ করেননি যারা ভোট দিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বা যারা সময়ের অভাবে ভোট দিতে পারেননি।

“এছাড়াও ভোটের দিন কেউ কোনো হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেননি। যারা অভিযোগ দিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পেপার কাটিং দিয়েছেন। কিন্তু এগুলোর ভিত্তিতে তো অনিয়ম প্রমাণ করা যায় না।”

তবে, তাদের তদন্তে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত না হলেও কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় হলটির ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে প্রথমে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।