শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরকীয়ার অভিযোগ তুলে নারী-পুরুষকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, হোতা গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্দিনগর এলাকায় পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক নারী শ্রমিক ও এক পুরুষ শ্রমিককে গাছে বেঁধে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। জানা গেছে, গত রবিবার সকালে জাফর আহমেদ নামে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসক অর্ধশত মানুষের সামনে এ কা- করেন। এ সময় পুরুষ শ্রমিকের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। পরে মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার ফাতেমা আক্তার অভিযুক্ত জাফর আহমেদসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে সুধারাম থানায় মামলাও দায়ের করেন। তখন পুলিশ মামলার প্রধান আসামি জাফর আহমেদকে গ্রেফতার করেছে। 

এদিকে দুই খন্ডে মোবাইলে ধারণকৃত ৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সঙ্গে বেঁধে পুরুষ শ্রমিককে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং নারী শ্রমিককে অভিযুক্ত ওই গ্রাম্য ডাক্তার জাফর একটি  লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করছেন। এভাবে দফায় দফায় তাদের দুজনকে মারধর করা হয়।

পল্লি চিকিৎসক জাফরের সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর, ইয়ার আহাম্মদ, সেলিম, গিয়াস উদ্দিনসহ আরও কয়েকজনও তাদের মারধর করেন। এক পর্যায়ে পুরুষ শ্রমিককে বেঁধে রাখা অবস্থার তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করা হয়।

ভিডিওটি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌঁছার পর খবর নিয়ে জানা গেছে, নির্যাতিত পুরুষ শ্রমিক জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে বুধবার সন্ধ্যায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনি নোয়াখালী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ওই নারীর কাছে দুই হাজার টাকা পাবেন তিনি। টাকার জন্য সকালে গেলে স্থানীয় কিছু লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। স্থানীদের অপবাদ মিথ্যা বলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই নারী ও তার মা অনুরোধ করলেও তারা ছেড়ে দেয়নি। উল্টো সঙ্গে ওই নারীকেও নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

সুধারাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় করমুল্যাহ্ থেকে সুধারাম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাফর নামে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে। বাকিদেরও খোঁজা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর