সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি বিভিন্ন সংগঠনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারী ও হঠকারী বলে মন্তব্য করেছে কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। তারা অবিলম্বে গ্যাসের বর্ধিত দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানান। আর তা না হলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়। 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতিতে  বলা হয়, জনগণের মতামত তোয়াক্কা না করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে দেশবাসীর ওপর ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, ‘নতুন অর্থবছরের বাজেট পাশের দিনেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত লাখ লাখ ভোক্তার ওপর নতুন অত্যাচার। এ সিদ্ধান্ত দায়িত্বহীন, জবরদস্তিমূলক ও অবৈধ।’ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিকালেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। সমাবেশে নেতারা বলেন, বিইআরসি জনগনের স্বার্থ না দেখে সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও ভুলনীতির সমর্থনে কাজ করে চলছে। তারা গণবিরোধী এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানান। আর তা না হলে হরতাল অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুমকি দেন। ইসলামী ফ্রন্ট : জনগণের মতকে উপেক্ষা করে পুনরায় গ্যাসের দাম ৩২.৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আল্লামা এম এ মান্নান ও এম এ মতিন। গতকাল দলের সহকারী দফতর সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাকিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, অবিলম্বে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হলে এক চুলার গ্রাহকদের ৭৫০ টাকার বদলে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলার গ্রাহকদের ৮শ’ টাকার বদলে ৯৭৫ টাকা করে গুনতে হবে যা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তারা বলেন, দেশের বৃহত্তর সাধারণ মানুষের আয়ে  যেখানে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে সরকারের নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে প্রতারণারই শামিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর