সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ঘুষের মামলার তদন্ত চার মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। মামলা বাতিলে নাজমুল হুদার আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জানা গেছে, নাজমুল হুদা বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গারেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে তার স্ত্রী সিগমা হুদার মালিকানাধীন খবরের অন্তরালে পত্রিকার ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে বলেন। ঘুষের টাকা না দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাতিল এবং কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দেন। পরে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকায় সম্মত হয় নাজমুল হুদা দম্পতি। ২০০৪ সালের ৩০  সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মার্গারেট ওয়ানের প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার চেকে সিগমা হুদার ব্যাংক হিসাবে ৬ লাখ টাকা জমা করা হয়। ২০০৮ সালের ১৮ জুন দুদক মতিঝিল থানায় নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে মামলা বাতিলের আবেদনে নাজমুল হুদা মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার পাশাপাশি তদন্ত বন্ধ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন।