দুধ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়, এমন প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ১৪ জুলাই শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালতে বিএসটিআইর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। শুনানিতে ‘আদালত পাস্তুরিত দুধ নিয়ে বিএসটিআইর প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে’ শিরোনামে গণমাধ্যমে বিএসটিআইর আইনজীবীর বরাতে আসা বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। আদালত বলে, দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা কোনো আদেশ দিইনি, মতামতও প্রকাশ করিনি।
অথচ আপনি মিডিয়ার সামনে আদালতের সন্তোষ প্রকাশের কথা বললেন। আর আপনার এ বক্তব্যের পর প্রাণ গ্রুপ গণমাধ্যমে হাই কোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের পণ্যের গুণগান প্রচার করছে। এ দুধ খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তার দায় কে নেবে? এর আগে ৮ জুলাই পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া প্রতিবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দাখিল করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এরপর রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
