বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
অরিত্রীর আত্মহত্যা

ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা প্ররোচনার মামলায় দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৭ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন। ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো। আসামিরা হলেন ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আক্তার। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনাকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে ২৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর অরিত্রী (১৪) মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে। পরে হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী ওই মোবাইল অরিত্রীর কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরদিন তার বাবা-মাকে স্কুলে আসতে বলা হয়। সে অনুযায়ী অরিত্রী পরদিন বেলা ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করে। সেখানে কিছু সময় বসিয়ে রাখার পর অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে শিক্ষিকা হাসনা হেনা আসামি জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। তাদের দেখেই আসামি জিন্নাত আক্তার উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে আসামি নাজনীন ফেরদৌসের কক্ষে যান। সেখানে অরিত্রী আসামি নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা চান। সঙ্গে তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা চান। কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের কথায় কান না দিয়ে টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীন ফেরদৌসের কথাকাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে যায় এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিতসুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর