দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) ধর্ষণের ঘটনা শালিসের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকায় আপস মীমাংসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে শালিসকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও জানাতে বলা হয়েছে। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং ফুলবাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে আগামী রবিবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। ‘শিশু ধর্ষণে জরিমানা ১৪ হাজার টাকা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের মূল্য ১৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে শালিসের মাধ্যমে ঘটনাটি আপসরফার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জুলাই উপজেলার ৭ নম্বর শিবনগর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর আবাসন এলাকায়। শালিসে অভিযুক্তকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও ওই শিশুর বাবাকে দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার টাকা। বাকি ৭ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা হয় উপস্থিত কথিত দুই সাংবাদিকসহ শালিসকারীদের মধ্যে।