সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশ পশুবাহী ট্রাক থামাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশ পশুবাহী ট্রাক থামাবে না। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া কোরবানির পশুর হাট বসানো বা জবাই করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সভায় স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশের আইজি, বিজিবি মহাপরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন মালিক সমিতির নেতারা, বিজিএমইএ-বিকেএমইএ-এফবিসিসিআইর নেতারা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও ট্যানারি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সড়ক ও নৌপথে কেউ সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবে না। সব কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করাও যাবে না। যানজট নিরসনে রাস্তার ওপর পশুর হাট বসবে না। বন্যার কারণে নির্দিষ্ট স্থানে পানি উঠলে পশুর হাট কোথায় হবে তা ইউএনও এবং ডিসিরা নির্ধারণ করবেন। পশুর হাটে পুলিশি টহল থাকবে। জাল নোট প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক মেশিন রাখবে হাটগুলোতে। বেশি টাকা নিরাপদে পৌঁছে দিতে মানিস্কট থাকবে। হাটে হাসিলের চার্ট দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে টহল জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, পশুবাহী ট্রাক বা ট্রলার গন্তব্য ব্যতিরেকে কোথাও থামানো যাবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহা যাতে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। ঈদের জামাতগুলো নির্বিঘœ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকের পুলিশও থাকবে। তিনি বলেন, ঈদের সময় যারা ঢাকার বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তাদের ঢাকার বাসার নিরাপত্তায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। ঈদ উপলক্ষে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও শপিং মার্কেট এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হবে। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেই পুলিশ সহযোগিতা করবে।

পোশাক শ্রমিকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে ৮ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া হবে। ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন বলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। কোনোভাবেই কোনো অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই চলবে না। ৯ ও ১০ আগস্ট শুক্র-শনিবার ছুটির দিনে শিল্পাঞ্চলগুলোতে যেন ব্যাংক খোলা রাখা হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হবে।

সর্বশেষ খবর