বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কমাল ও এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। এর আগে ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দন্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদ- স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। ওইদিন আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি করতে গেলে আদালত বলেছিল, আগে নথি আসুক। তখন দেখা যাবে। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। গত ১৮ নভেম্বর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়। ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদ- দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।

একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদ- পেয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে হাই কোর্টে এসে এই সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। চারজনের বিরুদ্ধে দ- ঘোষণার পাশাপাশি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকায় খালেদা জিয়ার নামে কাকরাইলে কেনা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে আদালত। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। তবে শুনানি চলাকালে একাধিকবার আদালতে হাজির হতে অনিচ্ছা দেখিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

সর্বশেষ খবর