বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
ছিটমহল বিনিময়ের বর্ষপূর্তি

উন্নয়নের বিপ্লব ঘটলেও কাটেনি জমি সংক্রান্ত জটিলতা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের ৫৯টিসহ দেশের ১১১টি ছিটমহল বিনিময়ের চতুর্থ বর্ষপূর্তি আজ। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ০১ মিনিটে মোমবাতি জ্বালিয়ে আর পরে সূর্যোদয়ের সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ছিটমহল বিনিময় সম্পাদন করা হয়। আর এর মধ্য দিয়ে ৬৮ বছরের অন্ধকার জীবন থেকে মুক্তি পায় ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে উভয় দেশের নাগরিকরা। সেই সঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় ছিটমহল কথাটি। ছিটমহল বিনিময়ের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে। এরই মধ্যে বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে চালু হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ নানা উন্নয়নমুখী কার্যক্রম। তবে তাদের জমির মালিকানা সংক্রান্ত মূল সমস্যা কাটেনি এখনো। ফলে জমি কেনা-বেচাসহ ভাগ-বণ্টনে দেখা দিয়েছে জটিলতা। তবে গেজেট সম্পন্ন হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানা গেছে। ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলে শুরু হয় সরকারি ও বেসরকারি  উদ্যোগে নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। বিদ্যুৎ সংযোগ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্ট নির্মাণ, বিদ্যালয় স্থাপন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন করা হয়।

তবে সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালু থাকলেও একমাত্র কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল এসব মানুষের অন্যতম সমস্যা জমির মালিকানা নির্ধারণ। জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহলে ৩২৩৮.৭২ একর জমি রয়েছে। আর এসব জমির মালিকানা সংক্রান্ত খতিয়ান, মাঠ রেকর্ডের পরচা, খারিজের কাগজ না পেয়ে ওয়ারিশদের মাঝে জমির ভাগ-বণ্টন বা জরুরি কোনো প্রয়োজনে জমি ক্রয় কিংবা বিক্রয় করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফলে কৃষিনির্ভর এসব এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত জমি সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গেজেট প্রকাশ সম্পন্ন হলে জমির রেকর্ডগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রেকর্ড হস্তান্তর হলে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমি সংক্রান্ত যে সমস্যা আছে তা সমাধান হবে।

সর্বশেষ খবর