রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
এফবিসিসিআইর বিবৃতি

খেলাপি ঋণ বিনিয়োগের অন্তরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বা নন-পারফর্মিং লোন- এনপিএলের বিষয়টি একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং দীর্ঘদিন যাবত এ দুর্বিষহ বোঝা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে- ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি করায় তা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে উৎপাদনশীল খাত বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য গত ৩১ জুলাই ঘোষিত এক বছর মেয়াদি মুদ্রানীতির ওপর গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় এ সব কথা বলেছে এফবিসিসিআই। সংগঠনটির মহাসচিব হোসাইন জামিল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়ায় এ খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত হতে পারে, যা বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত করবে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও বিনিয়োগের স্বার্থে এ খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করা সঙ্গত নয়। এফবিসিসিআই বলেছে, ঘোষিত মূদ্রানীতিতে   বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪.৮ শতাংশ। যেখানে পূর্ববর্তী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নির্ধারিত ছিল ১৬.৫ শতাংশ। উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন।

সহজলভ্য ঋণপ্রবাহ ছাড়া কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন সম্ভব নয়। ঘোষিত মূদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে ২৪.৩ শতাংশ করা হয়েছে যেখানে গত অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০.৯ শতাংশ। সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি করায় তা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে উৎপাদনশীল খাত বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বেসরকারি খাতের জন্য এফবিসিসিআই ঋণের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি সংকুলানের সুযোগ রাখার আহ্বান জানাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর