রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

অ্যাকর্ডের একতরফা সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাকশিল্প

-বিজিএমইএ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেইফটি ইন বাংলাদেশের (অ্যাকর্ড) একতরফা সিদ্ধান্তে পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেছেন, সমঝোতা চুক্তিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু অ্যাকর্ড এখন আলোচনা ছাড়াই নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। গতকাল রাজধানীর হোটেল আমারিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি। আরও বক্তব্য দেন অ্যাকর্ডের প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক স্টেফেইন কুইন, বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী, বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মিরান আলী।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অ্যাকর্ড। তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় নানা অজুহাতে বিভিন্ন কারখানাকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে সংস্থাটি। এতে কমছে রপ্তানি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিকরা। যদিও হাই কোর্টের আদেশের পর সমঝোতা চুক্তি হয়। কিন্তু অ্যাকর্ড চুক্তির শর্ত না মেনে একতরফা নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত ছয় বছরে অ্যাকর্ড ১৬০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২০০ প্রতিষ্ঠানকে পরিদর্শন সনদ দিয়েছে। গত ৮ মে থেকে তারা সময় বাড়িয়ে ২৮১ দিনের সময় নিয়েছে বাকি ১৪০০ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে। এটা কীভাবে সম্ভব? বিজিএমইএর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই ৪০০ কারখানাকে সতর্ক (এক্সেলেটেড) করেছে অ্যাকর্ড। কারখানাগুলোর নকশা, বিল্ডিং সেইফটি, ফায়ার সেইফটির পরও টেস্টিংয়ে ফেল দেখানো হচ্ছে। এতে রপ্তানি আদেশ ও কারখানার ব্যবসা কমেছে। শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছেন।

ড. রুবানা হক বলেন, অ্যাকর্ড ২০১৩ সালে কাজ শুরু করেছে। যে কাজটি তাদের পাঁচ বছর আগে করার কথা ছিল তা তারা এখন করছে, যা আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অ্যাকর্ডের এসব একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর