শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

এবার মশার ঘুমের ওষুধ আনা হয়েছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ডেঙ্গু নিধনে ঢাকা সিটি করপোরেশন এবার ‘মশার ঘুমের ওষুধ’ এনেছে। তিনি বলেন, তারা এবার কোটি কোটি টাকা দিয়ে যে ওষুধ নিয়ে এসেছে তা হচ্ছে মশার ঘুমের ওষুধ। মশা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে শান্তি ও বিশ্রামের মধ্যে থাকবে, সেই ওষুধ। প্রকৃতপক্ষে মশা নির্মূল হবে, নিধন হবে সেই ওষুধ আনেনি। সেটা প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ সময় জাসাসের বাবুল আহমেদ, আহসানউল্লাহ চৌধুরী, মীর সানাউল হক, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, জাহিদুল আলম হিটু, জাকির হোসেন রোকন, শিবা সানু, রমনা বিএনপির নাদিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বেইলি রোডে ফুটপাথের দুই পাশের বিপণিবিতান ও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের সামনে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে দলের লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গণবিরোধী সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়নি, বরং এখনো মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে খেলা করছে। জনগণকে আমরা সব দিক থেকে সচেতন করার চেষ্টা করছি, আমরা মানুষকে বলছি যে, আপনারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আগেই সর্তক থাকুন এবং এজন্য কী কী করণীয় তা ডাক্তাররা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, সেটাই আমরা এই লিফলেটের মধ্যে বলেছি।’

‘ডেঙ্গু নিয়ে গণমাধ্যম আতঙ্ক ছড়াচ্ছে’ সরকারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘যারা ব্যর্থ হয় তাদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়, যারা জনকল্যাণের মধ্যে থাকে না তাদের অসত্যের ওপর, মিথ্যার ওপর, বিভ্রান্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ তারা নিজেরাই হচ্ছে ভোটারবিহীন একটি সরকার। এ কারণে তারা মিডিয়ার বিরুদ্ধে বলছে। এ ধরনের সরকারের আমলে গণমাধ্যমই একমাত্র প্রতিচ্ছবি, একমাত্র আয়না যেখানে সমাজের নানা অসংগতি ফুটে উঠবে। এটাই হচ্ছে প্রকৃত গণমাধ্যমের বৈশিষ্ট্য। সে কাজগুলো গণমাধ্যম করছে।’

রিজভী আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় একটা সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। কিন্তু আমাদের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে যেতে দেয় না। ওরা মনে করে যে, তাদের এটাতে ক্ষতি হয়ে থাকবে, বিরোধী দল এলে তাদের ক্রেডিবিলিটি থাকবে না। এ ভয় থেকেই তারা এ কাজ করে। এজন্যই মহামারী বলুন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলুন, এটা সরকার যৌথভাবে মোকাবিলা করতে চায় না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর