বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার পুরোপুরি একটা ব্যর্থ ও প্রতারক সরকারে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বলা হয় ‘গভর্নমেন্ট ফর দ্য পিপল, অব দ্য পিপল অ্যান্ড বাই দ্য পিপল’। কিন্তু এই সরকার হয়ে গেছে এখন- ‘অব দ্য লুটেরার্স, ফর দ্য লুটেরার্স অ্যান্ড বাই দ্য লুটেরার্স’। এখানে লুট ছাড়া আর কিছু নেই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার ‘আমার দেশ আমার শিল্প’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে।
আয়োজক সংগঠনের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূব। চামড়াশিল্পের বর্তমান সংকট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ করি তখন আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন হলো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পূর্বশর্ত হচ্ছে সমৃদ্ধ শিল্প। কারণ এই শিল্পের মাধ্যমে জনগণের কর্মসংস্থান এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং সেই লক্ষ্যেই আমরা আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে যে চামড়ার ওপরে আমাদের দরিদ্র এতিম সন্তানরা নির্ভরশীল, একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারুরূপে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন অনেক জিনিস বেরিয়ে আসছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা লেখালেখির মাধ্যমে এমনকি ভারতবর্ষের পত্রিকায়ও যে খবরগুলো বেরিয়েছে সেগুলো থেকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হচ্ছে। আপনারা জানেন, আমাদের দেশের বেনাপোল থেকে ১০০ কিলোমিটার ভিতরে বানতলা নামে একটি চর্ম শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়েছে। যেটা একসময় ছোট শিল্পনগরী ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটাকে শিল্প বা বৃহৎ লেদার সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের অন্যান্য জায়গায়- যেমন কানপুরে ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলোর স্থানান্তর করা হয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত নিকটবর্তী বানতলায়। পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এটাকে নয়াদিগন্ত নামে অভিহিত করেছেন।মির্জা ফখরুল বলেন, একটা সমস্যা হলো সময়মতো চামড়াগুলো বিক্রি না করা। এগুলো বিক্রি না করলে নষ্ট হয়ে যাবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, পরিকল্পিতভাবে আজ সেটাই করা হচ্ছে। আমাদের চামড়াশিল্পকে সুপরিকল্পিতভাবে আজ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
