রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ কনস্যুলেট ম্যানহাটানে আনার ওপর গুরুত্বারোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউইয়র্ক থেকে

শতাধিক দেশের কনস্যুলেট রয়েছে নিউইয়র্কে। এর মধ্যে মাত্র দুটি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কনস্যুলেট অফিস ম্যানহাটনের বাইরে। অন্য সবই ম্যানহাটনে। বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল অফিস লং আইল্যান্ড সিটির নর্দার্ন বুলেভার্ডে এবং আফগানিস্তানের অফিস লিটল নেকের নর্দার্ন বুলেভার্ডে। অর্থাৎ একই রাস্তার ওপর এ দুটি কনস্যুলেট অফিসের কার্যক্রম চলছে।

নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বরোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বাস করছে কুইন্সে। সে আলোকে কনসাল জেনারেলের অফিস কুইন্সে থাকবে, এতে সমস্যা নেই। মেক্সিকোসহ সেন্ট্রাল আমেরিকার অনেক দেশ এবং চীনাদের বড় একটি অংশ কুইন্সে বাস করছে। আফ্রিকানরাও ব্রুকলিন, কুইন্স, ব্রঙ্কসে ভাগাভাগি করেই বসতি গড়েছে। এসব দেশের কনস্যুলেট অফিস হচ্ছে ম্যানহাটনে। ম্যানহাটনকে বিশ্বের রাজধানী, জাতিসংঘের শহর হিসেবে বিবেচনার পাশাপাশি সব কর্মকান্ডে র প্রাণকেন্দ্র মনে করা হয়।

কুইন্সের নর্দার্ন বুলেভার্ডে বর্তমানে যে স্থানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যক্রম চালাচ্ছে, সেটি ছিল একটি ওয়্যারহাউস। উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠা বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলের অফিস এমন একটি স্থানে থাকার অর্থ নিজেদের সেই ‘অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার’ স্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল।

এদিকে, নিউইয়র্কে নিজস্ব ভবনে বাংলাদেশ কনস্যুলেট স্থাপনের একটি প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা ইতিমধ্যে বেশ কটি বাড়ি দেখেছেনও। ঢাকা থেকে আসা লোকজনও তা প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানা গেছে। এমন কটি বাড়ি ছিল/রয়েছে পছন্দের তালিকায়, যেগুলো কেনা হলে প্রবাসীদের স্বপ্নের ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ পূরণ করা সহজ হবে। বহুতল ভবনের ওপর পতপত করে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডয়নের পাশাপাশি সামনের খোলা জায়গায় বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষমূর্তি এবং একটি শহীদ মিনারও স্থাপন সম্ভব। এক আবেদনপত্রে এমন স্বপ্নের প্রত্যাশা কিছুদিন আগে নিউইয়র্কে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারাও করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ, সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, এ ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মো. কাদের মিয়া, নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক লাবলু আনসার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, মর্যাদার প্রশ্নে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক ওপরে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এ অবস্থায় চলমান বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে এগিয়ে চলার স্বার্থেই ম্যানহাটনে কনস্যুলেট ভবনের বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর