শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘পাহাড়ে সেনাক্যাম্প স্থাপন ছাড়া সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়’

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে সেনাক্যাম্প স্থাপন ছাড়া সশস্ত্র সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতারা। তারা বলেছেন, যেদিন পাহাড় থেকে সেনাক্যাম্প উচ্ছেদ করা হয়েছে, সেদিন থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বেড়েছে পাহাড়ে সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসীদের অত্যাচার, নির্যাতন। খুন, গুম, চাঁদাবাজি এখন পাহাড়ে নিত্যদিনের ঘটনা। এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীর কাছে কেউ নিরাপদ নয়। সম্প্রতি সেনা টহলের ওপর সশস্ত্র হামলা তা-ই প্রমাণ করে। তাই পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে আবারও এখানে সেনাক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। এটি এখন পার্বত্যাঞ্চলের গণমানুষের দাবি।

গতকাল দুপুরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে ‘সকল ক্ষেত্রে পার্বত্য বাঙালিদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে’ স্লোগান সামনে রেখে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা কাউন্সিলের এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন। পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্বত্যবিষয়ক লেখক-গবেষক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবু তাহের প্রমুখ।

, বাঘাইছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাবেক উপদেষ্টা সদস্য ইসমাইল নবী শাওন, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম মনির, রাঙামাটি জেলার সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনগুলো একের পর এক হত্যাকান্ড  ঘটিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই তাদের দমন করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সংগঠনও। এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী পার্বত্যাঞ্চলকে জুম্মল্যান্ড হিসেবে গড়তে চায়। তারা চায় না এ অঞ্চলে কোনো বাঙালি বসবাস করুক। পাহাড় থেকে বাঙালিদের বিতাড়ন ও জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় তারা বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে। সেনা টহলের ওপর হামলা ও ভারতে মানববন্ধন এসবই ছিল তাদের পরিকল্পিত নীলনকশা। তাই এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীর অবৈধ অস্ত্রবাজি বন্ধ করতে সরকার ও প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর