বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে আরএসসির যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ও চলমান সংকট উত্তরণ এবং সংস্কারের জন্য ‘আরএমজি সাসটেইনইবিলিটি কাউন্সিল’ বা আরএসসির যাত্রা শুরু হয়েছে। ব্র্যান্ড, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আলোচনায় সব পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ফলে অ্যাকর্ড চলে যাওয়ার পরও এই কাউন্সিল পোশাক কারখানাগুলোর পরিদর্শন, প্রতিকার, প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা-অভিযোগ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।

এতে যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করেন আরবিসির জেনারেল সেক্রেটারি জেড এম কামরুল আনাম।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই আরএসসির খসড়া আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। ক্রেতা, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের এই সমঝোতা আজ বিজিএমইএর জন্য খুশির দিন। আমরা ত্রিপক্ষীয় আলোচনা করেছি। কোনো রকম ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে সমঝোতায় উপনীত হয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে সবাই একই সুরে, একইভাবে কাজ করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলও আমাদের এই সমঝোতায় বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়েছে। ভয়, দ্বন্দ্ব ইত্যাদির বাইরে থেকে আলোচনায় যা কিছু থাকে সেগুলোর ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, আমরা সবাই আরএসসি চালাব। আমরা এই আরএসসির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা মেনে নিয়েছি। এই আরএসসি দুইভাবে কাজ করতে পারে। একটি হচ্ছে ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে এবং অন্যটি কোম্পানির মাধ্যমে হতে পারে। যাই হোক আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে রেজিস্ট্রেশন করব। আমাদের আইনগত বাইন্ডিং থাকবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অনুদানপুষ্ট হয়ে কাজ করা হবে। আমরা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এখন যে জায়গায় এসেছি সেখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।

যৌথ ইশতেহারে বলা হয়েছে, অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিনিধিরা এর আগে গত ৮ মে স্বাক্ষরিত স্মারক অনুসারে এই আরএসসি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় দুই দিনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া পক্ষগুলো  আগামী ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে অ্যাকর্ড এবং এর সব কার্যাবলির একটি সাবলীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। আরএসসি  প্রথমবারের মতো নেওয়া একটি জাতীয় উদ্যোগ। যা দেশীয় শিল্প, ব্র্যান্ড এবং ট্রেড ইউনিয়নকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্সের মানদ  নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অদ্যাবধি অর্জিত সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে এই আরএসসি শিল্প সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত বিষয়গুলোকে নিজেদের কার্যপরিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে।

ঘোষণাপত্রে  আরও বলা হয়েছে, পক্ষগুলো সম্মত হয়েছে যে, তারা আরএসসির সংঘ স্মারক/সংঘবিধি এবং অ্যাকর্ডের দায়িত্ব হস্তান্তর চুক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে একসঙ্গে প্রস্তুত করবে। বিজিএমইএ এবং অ্যাকর্ড গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত রাখতে এবং পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর